শুধু সীমান্তেই নয়, ভারত-পাকিস্তান ‘যুদ্ধ’টা ক্রিকেটের বাইশ গজেও। আজ রাতে আবারও দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মুখোমুখি হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। দুবাইয়ে রাত আটটায় শুরু হতে যাওয়া এই ম্যাচ ঘিরে মাঠে আর মাঠের বাইরে চিরকালের মতোই বইছে উত্তেজনার স্রোত। কখনো চলছে কথার লড়াই। কখনো আবার এ নিয়ে সীমান্তে বইছে উত্তেজনা। তবে দুবাইয়ে দুই দলের সমর্থকেরা ম্যাচের আগে দুই দেশের মধ্যে শান্তির আশায় আছেন।
২০০৭ সালের পর থেকে ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে কোনো দ্বিপক্ষীয় সিরিজ হচ্ছে না। শুধু আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টেই দেখা হয় দুই দলের। কিন্তু এতে মন ভরছে না প্রবাসী মোহাম্মদ আশরাফের। নিয়মিত ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখতে চান তিনি। সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মরত এই পাকিস্তানি বললেন, ‘আমাদের দুই দেশের মধ্যে বারবার ক্রিকেট ম্যাচ হওয়া উচিত। ক্রিকেট মাঠে এই দুই দলকে দেখা দারুণ ব্যাপার।’
ক্রিকেট মাঠে তারকাদের লড়াই দেখতে চান আশরাফ। তবে কোনো অশান্তির বাতাবরণ যেন না আসে খেলার মধ্যে, ‘বিরাট কোহলি বনাম হাসান আলী, কী দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা! রাজনীতিবিদদের নিজেদের লাভের জন্য এসব নষ্ট করা উচিত নয়। তাদের ক্রিকেট খেলতে দিন। দুই দেশের মধ্যে যেন শান্তি আসে, সে জন্য প্রার্থনা করি আমি।’যদিও ভারতশাসিত কাশ্মীরে সম্প্রতি ১১ জন অভিবাসী শ্রমিক ও সংখ্যালঘু হিন্দু ও শিখদের হত্যার কারণে এই ম্যাচ বয়কটের আহ্বান জানিয়ে ভারতে বিক্ষোভ হয়েছে। সেই ২০১২-১৩ মৌসুমে পাকিস্তান সর্বশেষ ভারত সফর করেছিল পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে। কিন্তু এরপর থেকে এই দুই দেশে কোনো ভারত–পাকিস্তান ম্যাচ হয়নি। সর্বশেষ দুই দলের দেখা হয়েছিল ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে, ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারে।
আবারও ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখতে উন্মুখ আরব আমিরাতে দুই দেশের সমর্থকেরা। তেমনই একজন ভারতীয় নারী রাজ মেহতা। ২০১৭ সাল থেকে আবুধাবিতে চাকরি করছেন তিনি। ম্যাচটা দেখতে যেন তর সইছে না মেহতার, ‘অনলাইনে টিকিট ছাড়া মাত্রই দ্রুতই আমি কিনেছিলাম। এই ধরনের ম্যাচের জন্য সব সময় সবাই মুখিয়ে থাকে। বিশেষ করে যখন আপনি দেশ থেকে অনেক দূরে থাকবেন, তখন আরও বেশি এমন ম্যাচ দেখতে চাইবেন।’
দুই দেশের সীমান্তে যা কিছুই হোক না কেন, সেসব একপাশে রেখে ম্যাচটা উপভোগ করেন মেহতা, ‘আমি জানি, সব সময়ই পাকিস্তানের সঙ্গে ঝামেলা লেগে থাকে আমাদের। কিন্তু সেসব রাজনীতিবিদদের দেখার বিষয়। আমি আমার স্বামীর সঙ্গে ম্যাচটা উপভোগ করব।’